ফেনীতে ভুয়া ডাক্তারের লাখ টাকা জরিমানা
ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার ডায়াবেটিক এন্ড জেনারেল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট পরিচয়ে রোগীদেরকে বিভ্রান্ত ও প্রতারণার অভিযোগে ডা. মো. নাছিরকে অর্থদণ্ড করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সম্পর্কিত খবর
জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে দাগনভূঞা ডায়াবেটিক এন্ড জেনারেল হাসপাতালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও গাজালা পারভীন রুহি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম প্রসিকিউসন দাখিল করেন।
প্রসিকিউটসন মতে ডা. নাছির উদ্দীন সম্প্রতি কয়েক মাস যাবত দাগনভূঞা ডায়াবেটিক ও জেনারেল হাসপাতালে কনসালট্যান্ট পরিচয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। ডা.নাছির উদ্দীনের ভিজিটিং কার্ডে উল্লেখ রয়েছে এমপিএইচ (মেডিসিন)।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এমপিএইচ নামক ডিগ্রি থাকলেও এমপিএইচ (মেডিসিন) নামে কোনো ডিগ্রি প্রচলিত নাই।
এছাড়া ডা. মো. নাছির উদ্দীনের কার্ডে উল্লেখিত সিসিডি (বারডেম) ডিএমইউ (সনোলজিস্ট) এই দুইটি ডিগ্রির কোনো সার্টিফিকেট তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি।
অর্থাৎ ডা. নাছির ভুয়া পদবি ব্যবহার করছেন। তার ব্যবহৃত একটি ডিগ্রির কোনো অস্তিত্ব নাই এবং অন্য দুইটি ডিগ্রির কোনো সার্টিফিকেট তার কাছে সংরক্ষিত নাই। তার মেডিকেল চিকিৎসক পরিচয়ের অতিরিক্ত পেশাগত যোগ্যতার বিষয়টি জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে বলে জানানো হয়। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত ডা. মো. নাছির উদ্দীনকে মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইন,২০১০ এর ২৯ (১) ধারা লংঘনের অপরাধে ২৯ (২) ধারায় এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
একই সাথে 'দাগনভূঞা ডায়াবেটিক ও জেনারেল হাসপাতাল' এর ল্যাবের রেফ্রিজারেটরে মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যাল রিএজেন্ট থাকায় সেগুলো জব্দ করা হয় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সামছু উদ্দিনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫১ ধারায় বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এএএম/ এনজে